মহঃ আজহারউদ্দিন ( বীরভূম ) : বীরভূমের ভাঁড়কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলি থেকে অভিযোগ উঠেছিল বেশির ভাগ মানুষ রেশন পাচ্ছেন না । কারোর রেশন কার্ড হয়নি, কেউ ভিন রাজ্য থেকে বিয়ে হয়ে এখানে এসেছেন কিন্তু এখনও রেশন কার্ড তৈরি হয়নি, যার ফলে রেশন পাচ্ছেন না তারা । এবিষয়ে স্থানীয় আদিবাসী মানুষজন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ডঃ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন । আশীষ বাবু জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশ দেন সকলেই যেন রেশন পায় তার ব্যবস্থা করার জন্য । ওই গ্রামগুলিতে ভোরাই এর আদিবাসী সদস্যরা সমীক্ষা শুরু করে । প্রাথমিক ভাবে ভাঁড়কাটা গ্রামপঞ্চায়েতের পলাশবুনি, জেঠিয়া, ঢোলকাটা গ্রামে সমীক্ষা চালানো হয় । তিন দিনের সমীক্ষায় প্রায় ৪৫০ মানুষের নাম উঠে এসেছে যারা রেশন পান না । জেঠিয়া গ্রামের ৫১ বছর বয়সি সুরজমুনি মুরমু জানায় দীর্ঘদিন ধরে আমার রেশন কার্ড নেই তাই রেশনের কোনো কিছু মাল পায়না । স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য গুপিন মার্ডী বলেন দীর্ঘদিন রেশন পাচ্ছেন না কিছু মানুষ তাই আমরা মন্ত্রী সাহেবের কাছে আমাদের অভিযোগ জানিয়েছিলাম তার পরিপেক্ষিতে সদর মহকুমা শাসক আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসেন এবং আমাদের অভিযোগ শুনে যান । কৃষিমন্ত্রী ডঃ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ওই এলাকার মানুষজনদের অভিযোগ পেয়েছিলাম তৎক্ষনাৎ জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছি সকলকে রেশনের ব্যবস্থা করবার জন্য এবং বিষয়টি আমার নজরে রয়েছে সেখানে বর্তমানে সমীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে । ভোরাই এর সদস্যা বাবলী হাঁসদা জানায় বেশিরভাগ মানুষ জঙ্গলমহল স্পেশাল কোটাতে রেশন পেলেও পরিবারের কারোর না কারোর রেশন কার্ড নেই আমরা সেইসব মানুষের খোঁজ করছি । মহকুমা শাসকের নির্দেশে আমরা এই সমীক্ষা করছি যাতে করে সবাই রেশন পায় ।